
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। রোজ রোজ বাইরের হাবিজাবি খাওয়া, অতিরিক্ত মদ্যপান, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে বাড়ছে ফ্যাটি লিভার। যকৃৎ বা লিভার আমাদের শরীরের ভিতরের অঙ্গগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড়। আমরা যা খাই, তা হজম করতে, খাবার থেকে পাওয়া শক্তি সঞ্চয় করতে আর টক্সিন বর্জন করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ লিভারই করে থাকে। এই লিভারের কোষে নানা কারণে ফ্যাট জমে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের লিভার সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ চর্বি শোষণ করতে পারে। এর চেয়ে বেশি চর্বি জমা হলে তা বিপজ্জনক।
কী কী লক্ষণ দেখে সতর্ক হবেন
ডায়াবিটিস, থাইরয়েড ইত্যাদি হরমোনজনিত নানা অসুখেও ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা বাড়ে।
খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে ফ্যাটি লিভার হানা দেয়। খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা বাড়তে থাকে তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নিন।
ফ্যাটি লিভারের কারণে শরীর থেকে টক্সিন ভাল করে বেরতে পারে না। তাই নজর রাখুন প্রস্রাবের রং ও গন্ধের দিকে।
ফ্যাটি লিভার অ্যালকোহলিক ও নন-অ্যালকোহলিক দু’ধরনের হয়। অ্যালকোহল যত বেশি ঢুকবে শরীরে, ততই লিভারে পরতে পরতে মেদ জমবে। পরবর্তী কালে অ্যালকোহল-জনিত লিভারের নানা রোগ, এমনকি লিভারে সিরোসিসও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্যাটি লিভার আগাম বোঝার কোনও উপায় নেই। খিদে কমে যাওয়া, বমি ভাব, গায়ে চুলকানির মতো সাধারণ কিছু লক্ষণ আছে বটে। কিন্তু সেটাও বোঝা যায়, যখন লিভারের ক্ষতি অনেকখানি হয়ে গিয়েছে তার পরে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভার ধরা পড়ে ইউএসজি করাতে গিয়ে।
ফ্যাটি লিভারের পরবর্তী ধাপ হল ইনফ্ল্যামেশন। অর্থাৎ ক্রমাগত ফ্যাট জমতে জমতে লিভার ফুলে ওঠে। এর পরবর্তী ধাপ ফাইব্রোসিস। চতুর্থ পর্যায় হল লিভার সিরোসিস বা লিভার ফেলিয়োর। খাদ্যনালীর ভিতরে রক্তপাত শুরু হয়ে যায়। তখন লিভার প্রতিস্থাপনের দরকার পড়ে।