পছন্দের খাবারই খান, কিন্তু অ্যাকটিভ থাকুন, লিভার ভাল রাখার টিপস দিলেন ডাক্তার

গুড হেলথ ডেস্ক

কে বলেছে ফ্যাট খেলে জীবন একেবারে শেষ হয়ে যাবে? পছন্দের খাবারদাবার ছেড়ে কৃচ্ছ্রসাধন করতে বলেনি কেউ। যা ভাল লাগবে খান, কিন্তু অবশ্যই অ্যাকটিভ থাকুন (Liver Care)। হাসপাতালের খরচ যদি বাঁচাতে হয় তাহলে কিছু খরচ করে নিজেকে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করুন। সেডেন্টারি লাইফস্টাইলে রোজকার অনিয়মের মধ্যেও লিভার ভাল রাখার টিপস দিলেন ডাক্তারবাবুরা।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলছেন, যে কোনও রকমের ক্যানসার হোক সে ব্রেস্ট ক্যানসার, প্রস্টেট ক্যানসার থেকে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার–সবেরই গোড়ার কারণ হল লিভার। আর লিভার বিগড়ে গেলেই শরীরের সর্বনাশ শুরু হয়ে যায়। এমনকি কিডনি বিকল হওয়ার নেপথ্যেও রয়েছে লিভার (Liver Care)। ডাক্তারবাবু বলছেন, গলস্টোন কিন্তু শুধু গলব্লাডারের সমস্যা নয়। এর সঙ্গেও জুড়ে রয়েছে লিভার।

Fatty Liver Disease

পছন্দের খাবার খান, কিন্তু এগুলো মাথায় রাখতে হবে

কম ঘুম, নামমাত্র খাওয়া এবং কম শারীরিক পরিশ্রমে শরীরের যে অঙ্গটির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে তার নাম লিভার বা যকৃত। অথচ শরীরের পুষ্টি থেকে শক্তি সবেরই যোগান দেয় লিভার। মানব শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখার বড় দায়িত্বও রয়েছে এই অঙ্গের। আর মানুষ সবচেয়ে বেশি হেলাফেলা করে লিভারকেই। লিভারে মেদ জমতে থাকলে রোগ প্রতিরোধ তলানিতে গিয়ে ঠেকে এবং ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা প্যাথোজেনের সংক্রমণ সহজেই বাসা বাঁধে শরীরে।

লিভারের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল টক্সিন বার করে দেওয়া। কিন্তু যদি দেখা যায় খাবার বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে এই টক্সিনই জমছে লিভারে তাহলেই বিপদের ঘণ্টা বেজে যায়।

Liver Care Tips

বর্তমান সময়ে লিভারের মেদ বা ফ্যাটি লিভার নিয়েই বেশি ভুগছেন মানুষ। এই রোগ চুপিসাড়ে আসে। কিন্তু শরীরকে নাজেহাল করে ছাড়ে। ভারত ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ফ্যাটি লিভারের রোগ এখন সবচেয়ে বেশি। লিভারে মেদ জমতে পারে নানা কারণে। আসলে ফ্যাটি লিভার হল ‘লাইফস্টাইল ডিজিজ।’ পছন্দের খাবার খান কিন্তু সীমা ছাড়িয়ে নয়, মদ্যপান করার মাত্রাটাও যদি বিপদসীমা ছাড়িয়ে যায় তখনই লিভারে ফ্যাট জমা শুরু হয়ে যায়।

 Liver Care

অ্যালকোহল না খেলেও লিভারের রোগ হতে পারে। যাকে ‘নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’ (NAFLD) বলে। এক্ষেত্রে বংশগত কোনও ক্রনিক রোগ, কিডনির রোগ, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েড, উচ্চরক্তচাপ নানা রকম কারণ দায়ী। ওবেসিটি বা স্থূলত্বও নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ। সেক্ষেত্রে নিজের বিএমআই ইনডেক্স মেপে উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে।

শরীরচর্চা করুন নিয়মিত। ব্যায়াম করার সময় না পেলে নিজেকে নানাভাবে অ্যাকটিভ করুন। বসে থাকবেন না। রোজকার অভ্যাসে বাড়ির বা বাইরের কাজকর্ম করলেও মেদ ঝরে। অলসভাবে জীবন কাটালে রোগ হতে বাধ্য।