
Liver Cirrhosis: লিভারের ক্ষত জানান দেয় আগেই, সিরোসিসের কোন লক্ষণগুলো চিনবেন
গুড হেলথ ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে লিভারের রোগ (Liver Cirrhosis) বেড়েই চলেছে। মানুষজনের জীবনযাপনের অভ্যাসে পরিবর্তন হচ্ছে। শারীরিক পরিশ্রম কমছে। ডায়াবেটিস বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হার্টের রোগ। এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে শরীরের যে অঙ্গটি সবথেকে বেশি ধাক্কা খাচ্ছে, তা হল লিভার। সময়ে ধরা পড়লে এই রোগটির জটিলতা থেকে অনেকখানিই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগটি ধরতেই এত দেরি হয়ে যায়, তখন আর কিছু করা সম্ভব হয় না। লিভার সিরোসিস হওয়ার শুরুতেই শরীর কিছু কিছু সঙ্কেত দিতে থাকে। এই সঙ্কেতগুলো চিনে নিতে হবে।
লিভারের ফাইব্রোসিস (fibrosis) বা দগদগে ক্ষতের ফাইনাল স্টেজ হল সিরোসিস (Liver Cirrhosis )। লিভারের কাজকর্মে ইতি তো টানেই, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খাড় করে দেয় যাবতীয় কোষ-কলাকে। সিরোসিস যদি ক্রনিক হয়ে যায়, তাহলে বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ। লিভার ক্যানসারকে নিমন্ত্রণ করে ডেকে আনে। অতিরিক্ত মদ্যপান, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, ফ্যাটি লিভার, সিস্টিক ফাইব্রোসিস (cystic fibrosis), পিত্তথলির সমস্যা (biliary atresia) থেকে সিরোসিস হতে পারে।
কী কী লক্ষণ দেখে সতর্ক হবেন
লিভার দ্রুত রিজেনারেট করে, কিন্তু সিরোসিস হলে ক্ষতের (Liver Cirrhosis) পরিমাণ বেড়ে যায়। লিভারের অনেক কোষ নষ্ট হয়ে যায়। তখন অস্ত্রোপচারের দরকার হতে পারে। তবে লিভার সঙ্কেত দেয় আগে থেকেই। সেই লক্ষণগুলো দেখে আগেভাগে সতর্ক হলে বিপদের ঝুঁকি কমে।
সারা শরীরে ঘন ঘন কালশিটে পড়তে পারে। লিভার ভিটামিন-কে র সাহায্যে একরকমের প্রোটিন তৈরি করে যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। পুরনো ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলকে রিজেনারেটও করে লিভার। কিন্তু যদি এই প্রোটিন তৈরি বন্ধ হয়ে যায় তখনই গণ্ডগোল শুরু হয়। লিভারের রোগ যদি আগেই থেকে যাকে এবং ঘন ঘন শরীরে কালশিটে বড়তে থাকে তাহলে সাবধান হতে হবে।
লিভার থেকে বেরনো হওয়া হলুদ-কমলা রঙের পিত্ত বিলিরুবিনের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে জন্ডিস হয়। লিভারে ক্ষত তৈরি হলে লিভার শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। বারে বারে জন্ডিস হলে সাবধান হতে হবে।
কোনও রকম শরীরচর্চা করছেন না, কড়া ডায়েটেও নেই, তাও যদি দেখেন ওজন কমে যাচ্ছে, তাহলে সতর্ক হতে হবে। আচমকা ওজন কমে যাওয়া ভাল লক্ষণ নয়।
Heart Attack: জেল দিয়েই হার্টের ক্ষত সারবে! অ্যাটাকের পরে দুর্বল হৃৎপিণ্ড চাঙ্গা হবে
লিভারে ক্ষত (Liver Cirrhosis) তৈরি হতে থাকলে পা ও গোড়ালিতে জ্বালা হতে পারে। এটিও সিরোসিসের একটা লক্ষণ। লিভারে ক্ষত হলে অ্যালবুমিন প্রোটিনের নিঃসরণ কমতে থাকে। এই প্রোটিনই রক্তনালীতে রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না। কিন্তু এর পরিমাণ কমে গেলে রক্তনালীতে ব্লাড ক্লট হতে শুরু করে।
দীর্ঘ দিনের লিভারের অসুখ থাকলে পেটের তলদেশে তরল জমা হয়ে পেট ফাঁপার সমস্যার দেখা দিতে পারে। দেখে মনে হবে পেট ফুলে আছে। খিদে কমে যাবে, ওজন কমতে পারে। তখন সাবধান হতে হবে।
পেটে ব্যথা হতে পারে, আচমকা জ্বর, ক্লান্তিভাব-ঝিমুনি থাকতে পারে। বমি বমি ভাব থাকতে পারে রোগীর।