
Robotic Kidney Transplant: বিকল কিডনি সরিয়ে নতুন বসিয়ে দিল রোবট, একদিনেই সুস্থ রোগী
গুড হেলথ ডেস্ক
রোবোটিক কিডনি (Robotic Kidney Transplant) প্রতিস্থাপনে বিপ্লব। গোটা অস্ত্রোপচারই করল রোবোটিক হাত (Robotic Arm)। বিকল কিডনি সরিয়ে সেখানে নতুন কিডনি প্রতিস্থাপন করা হল। মাত্র চার ঘণ্টার সার্জারিতেই একদম সুস্থ রোগী। কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো জটিল অস্ত্রোপচার যেমন কম সময় করা গেল, তেমনই একদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেলেন রোগী। রোবোটিক কিডনি ট্রান্সপ্লান্টে (Robotic Kidney Transplant) বিপ্লব ঘটিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কিডনির রোগ স্টেজ ফাইভে পৌঁছে গেছিল ২৬ বছরের লরা ব্রে-র। ন’ঘণ্টা ধরে ডায়ালিসিস করেও বাঁচার আশা ছিল না। দাতা বা ডোনারের শরীর থেকে নেওয়া কিডনি প্রতিস্থাপন করাও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। গ্লিকম্যান ইউরোলজিক্যাল অ্যান্ড কিডনি ইনস্টিটিউটের রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিভাগের ডাক্তাররা জানিয়েছেন, রোবোটিক সার্জারি ছাড়া গতি ছিল না। লরার কিডনির যা হাল ছিল তাতে সেটি সরিয়ে নতুন অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তাই ‘সিঙ্গল পোর্ট রোবোটিক সার্জারি’ (Single-Port Robotic Kidney Transplant) করারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তৈরি হয় মেডিক্যাল টিম।
রোবোটিক কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টে (Robotic Kidney Transplant) বড় সাফল্য
সিঙ্গল পোর্ট রোবোটিক সার্জারির বিশেষত্ব হল অস্ত্রোপচারের জায়গার ডায়াগনসিস থেকে সার্জারি, গোটাটাই করে রোবট। কার্বন-ডাই অক্সাইড বাবল ব্যবহার করে প্রতিস্থাপনের জায়গার সঠিক পর্যবেক্ষণ করে নেয় যান্ত্রিক হাত। সার্জিকাল জায়গার অবস্থা কেমন, কতটা ঝুঁকির, সব কিছু পর্যবেক্ষণ করে নির্দিষ্ট ম্যাপ তৈরি করে ফেলে রোবট। তারপর শুরু হয় অস্ত্রোপচার। কম্পিউটারে সবটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন ডাক্তাররা।
রোবট হাতের কব্জি ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরাতে পারে, যা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই শরীরের যে কোনও দুর্গম এবং ছোট জায়গায় পৌঁছে গিয়ে জটিল অস্ত্রোপচার অথবা নিখুঁত ভাবে সেলাই করা রোবটের পক্ষে অনেক সহজ। শরীরের অন্যান্য অংশের ক্ষতি না করে শুধুমাত্র আক্রান্ত স্থানেই নিখুঁত অস্ত্রোপচার সম্ভব একমাত্র রোবোটিক সার্জারিতেই।
অভিজ্ঞ ডাক্তাররা বলছেন, যেহেতু মানুষের হাত নয়, গোটাটাই হয় যান্ত্রিক হাত দিয়ে এবং সবটাই প্রোগ্রামিং করা থাকে, তাই অস্ত্রোপচারে ঝুঁকি অনেক কমে যায়। ভুলত্রুটির সম্ভাবনাও অনেক কম। খুব কম সময় অস্ত্রোপচার করাও সম্ভব। গোটা সার্জারিই যেহেতু নিখুঁত পদ্ধতিতে হয়, তাই পোস্ট-সার্জারি পর্বে রোগীর তেমন কোনও কমপ্লিকেশন হয় না। খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক জীবনে ফিরেও যেতে পারে।