
কিডনি স্টোনের ঝুঁকি বেশি কাদের? উপসর্গ কী? দেখুন একনজরে
গুডহেল্থ ডেস্ক: একটু বয়স বাড়লেই শরীরে দানা বাঁধে নানান অসুখ। তেমনই একটা কিডনির স্টোন। মূলত বয়স্কদের হলেও কমবয়সিদেরও মাঝে মাঝে এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। কিডনিতে স্টোন হওয়া কিন্তু অবহেলার বিষয়বস্তু নয়, বরং চিকিৎসা না করালে বেশ ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। এমনকি হঠাৎ ব্যথার চোটে রাতদুপুরে হাসপাতালে দৌড় করাতে পারে এই অসুখ।
কিডনির স্টোন কী?
কিডনির কাজ ফিল্টারের মতো। শরীরের অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয় কিডনি। এই ফিল্টারের কাজ করার সময় মূত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া কিছু কেলাস বা ক্রিস্টাল কিডনির ভেতর ডেলা তৈরি করে। এই ডেলাগুলোই হল কিডনির স্টোন।
কিডনিতে স্টোনের উপস্থিতি বুঝব কী করে?
কয়েকটি উপসর্গ দেখে কিডনির স্টোনের অসুখ চেনা যায়।
- বারবার প্রস্রাব
- প্রস্রাবের সময় জ্বালা করা
- প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত পড়া
- পাঁজর থেকে নিতম্ব পর্যন্ত ব্যথা হওয়া
ঝুঁকিতে বেশি কারা?
- ৭০ পেরোনো মানুষজন।
- গর্ভবতী মহিলা।
- যাঁদের বংশগতভাবে কিডনি স্টোনের ইতিহাস আছে।
- যাঁরা অতিরিক্ত স্ট্রেস নেন। জানা গেছে, অত্যাধিক মানসিক চাপে ভাসোপ্রেসিন নামে একটি হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন মূত্রের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। ফলে হতে পারে কিডনিতে স্টোন।
- প্রাণিজ প্রোটিন অর্থাৎ ডিম, দুধ, মাছ, মাংস বেশি যাঁরা খান।
- যাঁদের বাতের সমস্যা আছে।
- চলৎশক্তিহীন যাঁরা অর্থাৎ যাঁরা শয্যাশায়ী, তাঁদের হাড়ের পুনর্শোষন বেড়ে যায়, ফলে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে কিডনিতে স্টোন হতে পারে।
- কিডনির স্টোন অবহেলা করলে তা বারবার ফিরে আসতে পারে। তাই সঠিক সময়ে চিকিৎসার কোনও বিকল্প নেই।