
প্রতিদিন যেমন আমাদের শারীরিক বিশ্রাম বা ঘুম দরকার, তেমনই প্রতিদিন আমাদের মানসিক বিশ্রামও দরকার। বর্তমানে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষের ব্যস্ততা বেড়েছে বহুগুণে। স্ট্রেস (Mental Stress), মানসিক চাপ (Mental Stress) নিত্য সঙ্গী। এগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারলে খুবই ভাল, কিন্তু স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টে যদি আপনি পারদর্শী না হন, তাহলে নিঃসন্দেহে মাথাচাড়া দিতে পারে অবসাদ। রোজকার হতে থাকে মানসিক চাপকে অবহেলা করলে তা ধীরে ধীরে অ্যাংজাইটি বা ডিপ্রেশনে পরিণত হতে পারে।
মন বা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যও প্রভাবিত হয়। শরীরের সঙ্গে মনও ওতপ্রোত জড়িয়ে, তাই স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সবথেকে আগে প্রয়োজন মানসিক চাপ দূর করা।
স্ট্রেস (Mental Stress) ম্যানেজমেন্টের জন্য দৈনন্দিন জীবনযাপনে একটু শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়া খুব জরুরি। নইলে শুধু ওষুধ খেয়ে বা মনোবিদ দেখিয়ে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।
রোজের রুটিনে এই ৫ বিষয় রাখুন। অন্যথা না করলে দেখবেন আপনাকে সহজে অবসাদ গ্রাস করতে পারবে না–
১. স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস : শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা- এই দুই ক্ষেত্রেই সুষম খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি স্বাস্থ্যকর ব্যালেন্সড ডায়েট আমাদের স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যার ফলে মানসিক চাপ (Mental Stress) কম হয়, স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।
২. বিশুদ্ধ বাতাস : শহরের ব্যস্ত জীবন ও দূষণ যেমন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক, তেমনই আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকারক। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সারাদিনের মধ্যে অন্তত ৩০ মিনিট সবুজ গাছপালা, প্রকৃতির মাঝে থাকার অভ্যাস ও বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহনের অভ্যাস আমাদের ফুসফুসকে ভাল রাখে। রক্তচাপ কমায়, সাথে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও হ্যাপি হরমোন (ডোপামিন) ক্ষরণ বৃদ্ধি করে , যার ফলে মন ভালো থাকে।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম ও মেডিটেশন : নিয়মিত ব্যায়াম যেমন আমাদের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি রোধ করে, দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করে, তেমনই মেডিটেশন-এর অভ্যাস আমাদের মনকে শান্ত (Mental Stress) করে। মনোযোগ ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
৪. গান শোনা : গান শুনলে আমাদের মস্তিষ্ক থেকে স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ কমে ও ডোপামিন ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে গান শুনলে মানসিক চাপ কমে মন ভালো থাকে ও আনন্দ অনুভূত হয়।
৫. কথোপকথন : বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পছন্দের মানুষের সাথে সমস্যা ও আবেগ নিয়ে কথা বলার অভ্যাস আমাদের ডিপ্রেশন ও মানসিক চাপের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।