
আগে ডিপ্রেশন, স্কিৎজোফ্রেোনিয়া, বাই-পোলার ডিসঅর্ডার, পারকিনসন্স এইরকম বহু রোগের সঙ্গে অ্যালঝাইমার্স (alzheimer’s disease) রোগীদেরও ‘পাগল’ বলে চিহ্নিত করা হত। কিন্তু এখন অ্যালঝাইমার্সের মতো ভয়ঙ্কর মানসিক ব্যধি নিয়ে নানারকম গবেষণা চলছে। এই রোগ সারানো যেতে পারে এমন নানারকম থেরাপি আনছেন গবেষকরা। আসছে টিকাও। পাশাপাশি, রোজকার জীবনযাপনে এমন কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস রপ্ত করার কথা বলা হচ্ছে যাতে অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে। ডায়েটও হওয়া চাই তেমনই।
বয়সকালে স্মৃতিনাশের মতো দুরারোগ্য মানসিক ব্য়ধির কবলে পড়তে না চাইলে এখন থেকেই জীবনযাপনে বদল আনুন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেডেন্টারি লাইফস্টাইলে সাধারণ কিছু বদল আনলেই শরীর একেবারে সুস্থ থাকবে। মানসিক স্বাস্থ্যও (alzheimer’s disease) ভাল থাকবে। সেই সঙ্গে নজর দিতে হবে খাওয়াদাওয়ায়। দেখা গেছে, সারা জীবন অলসভাবে কাটিয়েছেন, বিন্দুমাত্র শরীরচর্চা করেননি এমন লোকজন বয়সকালে গিয়ে স্মৃতিনাশের শিকার হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শারীরিক কসরত খুব জরুরি। এতে শরীরের পেশি যেমন ফিট থাকে তেমনি মস্তিষ্কের স্নায়ুও সক্রিয় থাকে।
রোজকার অভ্যাসে কী কী বদল আনবেন
ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তাতে রাশ টানুন। ধীরে ধীরে সিগারেট, তামাক, গুটখার নেশা থাকলে ছেড়ে দিন।
অ্যালকোহলের নেশা ছেড়ে দিন। না পারলে একটু একটু করে কমানোর চেষ্টা করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। রোজ ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।
মানসিক স্বাস্থ্যে খেয়াল রাখুন। অতিরিক্ত স্ট্রেস, টেনশন পরবর্তী সময়ে বিপদ ডেকে আনতে পারে। মানসিক চাপ কমাতে ওয়ার্কআউট করুন। প্রতিদিন কিছুটা সময়ে নিজের পছন্দের কাজ করুন। মেলামেশা বাড়ান। কথা বলুন, আত্মীয়-বন্ধু-পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।
নিজেকে গুটিয়ে রাখবেন না, মনের কথা শেয়ার করার চেষ্টা করুন (alzheimer’s disease) । মনে কোনও অস্থিরতা থাকলে কাছের মানুষজনের সঙ্গে কথা বলুন। তাতেও কাজ না হলে মনোবিদের পরামর্শ নিন। আগে থেকেই সতর্ক থাকলে পরে গিয়ে বিপদের ঝুঁকি কমবে।
প্রতিদিন কিছুটা সময়ে শরীরচর্চা করার চেষ্টা করুন। আপনার জন্য কী কী ওয়ার্কআউট দরকার তা বিশেষজ্ঞের থেকে জেনে তবেই করবেন।
প্রকৃতির মাঝে থাকার চেষ্টা করুন। গাছপালা আছে এমন জায়গায় হাঁটুন। দিনে কিছুটা সময় মেডিটেশন করার চেষ্টা করুন। এতে মন ভাল থাকে, অ্যাংজাইটি কমে যায়।
স্মৃতি ফিরবে অ্যান্টিবডি থেরাপিতে? অ্যালঝাইমার্সের চিকিৎসায় নতুন পথের হদিশ
মাইন্ড ডায়েট অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকি কমায়
খাওয়াদাওয়াতেও বদল দরকার। মাইন্ড ডায়েট স্মৃতিনাশের ঝুঁকি কমায়। গবেষণা বলছে, যাঁরা নিয়মিত মাইন্ড ডায়েট খান, তাঁদের মধ্যে অ্যালঝাইমার্স ডিজিজের আশঙ্কা প্রায় ৫৩ শতাংশ কমে। আর যাঁরা মাঝেমধ্যে খান, তাঁদের কমে প্রায় ৩৫ শতাংশ।
ডায়েটে কী কী রাখবেন?
সব্জি, সবুজ শাক, বেরি, বিশেষ করে ব্লু বেরি, নানা রকম বাদাম, বিনস বেশি করে খেতে হবে।
দানাশশ্য রাখতেই হবে রোজের ডায়েটে। ব্রাউন রাইস, আটা, জোয়ার, বাজরা, রাগি, ওটস খান। ভাতের বদলে ব্রাউন রাইস খেতে পারেন।
মাছে প্রচু পরিমাণে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। মাছ খেলে ব্রেন ভাল থাকে।
রেড মিট ছেড়ে লিন মিট খান। সপ্তাহে একদিন বা দু’দিন হাল্কা চিকেন স্ট্যু খেলে উপকার হবে।
কী কী বাদ দেবেন–ভাজাভুজি ও ফাস্ট ফুড, প্যাকেটজাত ফুড, রেড মিট, চিজ, মাখন ও মার্জারিন, ফল বাদে সব রকম মিষ্টি খাবার, সফট ড্রিঙ্কস।