
কম খরচে বিশ্বমানের ফার্টিলিটি চিকিৎসা দিচ্ছে ক্রেডেল, জোকার পরে নতুন শাখা গড়িয়াতেও
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এবার ক্রেডেল ফার্টিলিটি সেন্টারের নতুন শাখা খুলছে গড়িয়া মেট্রো স্টেশনের একদম গায়েই। জোকার মবল শাখার পরে এই প্রথম নতুন এক্সটেনশন খুলতে চলেছে তারা। ক্রেডেলের প্রতিষ্ঠাতা ও ডিরেক্টর ডক্টর এসএম রহমান জানিয়েছেন, নতুন এই ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকবেন ডক্টর হানি কুরেশি। স্ত্রীরোগ ও বন্ধ্যত্ব চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ডক্টর হানি কুরেশির দক্ষতা ও তারুণ্যে দক্ষিণ কলকাতায় বন্ধ্যত্ব চিকিৎসার এক নতুন দিক খুলতে চলেছে, এ কথা বলাই যায়।
ডক্টর রহমান জানিয়েছেন, যতটা সম্ভব কম খরচে বন্ধ্যত্ব চিকিৎসার টপ ফেসিলিটি দেওয়া যায়, সেটাই তাঁদের লক্ষ্য। নতুন বছরের গোড়া থেকেই শুরু হয়ে যাবে এই ক্লিনিক। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, সপ্তাহে একদিন করে এসএম রহমান নিজে যাবেন সেখানে। বাকি সমস্ত কিছুর দায়িত্বে ওনেতৃত্বে থাকবেন হানি কুরেশি।
ক্রেডেল ফার্টিলিটি সেন্টার তার যাত্রা শুরু করেছিলো ২০১৪ সালে। সাধ্যের মধ্যে বিশ্বমানের বন্ধ্যত্ব চিকিৎসাই ছিল এর প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য। ডক্টর রহমানের কথায়, চতুর্দিকে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা আইভিএফ ক্লিনিকের মধ্যে নিজেদের স্বতন্ত্র ও কার্যকর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার দায় ছিল ক্রেডেলের। উচ্চপ্রশিক্ষিত পেশাদারৎসকদের নিয়ে একটি টিম তৈরি করে, বানানো হয় বিশ্বমানের আইভিএফ ল্যাব এবং ওটি।

লাগাতার পরিশ্রম ও উৎকৃষ্ট মেধা, সেইসঙ্গে দুরন্ত টিমওয়ার্ক সাফল্য আনতে বাধ্য। ৬ বছরের মাথায় ২০২০ সালে ক্রেডেল ফার্টিলিটি সেন্টার আজ বন্ধ্যত্ব চিকিৎসার এক উজ্জ্বল প্রতিষ্ঠান। রোগীরা স্বল্প খরচে সফল ভাবে সুস্থ সন্তানের বাবা-মা হয়ে চলেছেন বছরের পর বছর ধরে। তবে আত্মসন্তুষ্টির কোনও জায়গা নেই বলেই মনে করেন ডক্টর রহমান। তাঁর কথা, “আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ।”
তাই তো আজ নতুন শাখা খুলতে চলেছে এই সেন্টারের, যার নেতৃত্বে থাকবেন এক মহিলা।
ডক্টর হানি কুরেশি জানিয়েছেন, যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন জটিল স্ত্রীরোগ বা বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভুগছেন, অনেক চেষ্টার পরেও পিতৃত্বের বা মাতৃত্বের সুখ পাননি, তাঁদের চিকিৎসার জন্য তাঁর টিম বদ্ধপরিকর। কলকাতার বুকে কম খরচে অত্যাধুনিক ও বিশ্বমানের চিকিৎসা পেতে ক্রেডেল ফার্টিলিটি সেন্টারের জুড়ি নেই।