মাতৃত্বে বাধা নয় পিসিওডি, কী কী চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় বুঝিয়ে বললেন ডাক্তারবাবু

গুড হেলথ ডেস্ক: আজকালকার দিনে প্রায় বেশিরভাগ মহিলাদেরই অন্যতম সমস্যা পলিসিস্টিক ওভারি ডিজিজ বা পিসিওডি (PCOD)। সন্তানধারণেও বাধা হয় এই সমস্যা। এটি মূলত হরমোনজনিত সমস্যা। পিসিওডি মানেই কিন্তু বন্ধ্যত্ব নয়। এই সমস্যা সারিয়ে তোলা যায়। পিসিওডি কী, এর লক্ষণ কী কী, কীভাবে  চিকিৎসা হবে বুঝিয়ে বললেন ক্রেডেল ফার্টিলিটি সেন্টারের অ্য়াসোসিয়েট কনসালট্যান্ট ডা. সুদক্ষিণা পাঁজা।

পিসিওডি (PCOD) কী?

পিসিওডি কথাটায় সিস্ট থাকলেও এটি আসলে মহিলাদের হরমোনের তারতম্যজনিত সমস্যা। মহিলাদের পিরিয়ড বা ওভ্যুলেশনের জন্য দায়ী যে হরমোনগুলি, সেগুলির তারতম্য হলেই ওভ্যুলেশনে ব্যাঘাত ঘটে। তখন মেয়েদের শরীরে যে উপসর্গগুলো দেখা দেয় তাদেরই বলে পলিসিস্টিক ওভারি ডিজিজ বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম।

বন্ধ্যত্ব: মেয়েরা কিন্তু একা দায়ী নয়, পুরুষদের কী কী ফ্যাক্টর কাজ করে?

যে মহিলাদের পিসিওএস হয় তাদের শরীরে পুরুষ হরমোন অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর এই অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদের ওভ্যুলেশন ঠিক মতো হয় না বা ওভ্যুলেশনে সমস্যা হয়। তখন সন্তানধারণে জটিলতা আসতে পারে।

উপসর্গ কী কী?

খুব সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে–অনিয়মিত মাসিক, কখনও খুব কম, আবার কখনও মারাত্মক বেশি।

ওজন অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া।

শরীরে পুরুষালিভাব ফুটে ওঠে, মুখে ব্রণ, ফেসিয়াল হেয়ারের সমস্যা দেখা দেয়।

শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অবাঞ্ছিত লোম।

মিসক্যারেজ বা বন্ধ্য়ত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ধরা পড়বে কী করে?

পিরিয়ড চলাকালীন দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে কিছু রক্ত পরীক্ষা করা হয়–এলএইচ, এফএসএইচ, প্রোল্যাক্টিন, থাইরয়েড এবং টেস্টোস্টেরন টেস্ট করা হয়। এর সঙ্গে আলট্রাসাউন্ড করা হয় (PCOD)।

চিকিৎসা কী? পিসিওডি ক্রনিক ডিজিজ। কিছু ট্রিটমেন্টে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। প্রথমত লাইফস্টাইল মডিফিকেশন। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, স্ট্রেস না নেওয়া, ওজন কমানো ইত্যাদি। তাছাড়া কী কী ওষুধ ও চিকিৎসা পদ্ধতিতে পিসিওডি নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে বুঝিয়ে বললেন ডাক্তারবাবু।