পিরিয়ডের সময়ে তৈলাক্ত ত্বক? মুখ ভর্তি ব্রণ, র‍্যাশ, কীভাবে কমাবেন

গুড হেলথ ডেস্ক

ঋতুস্রাবের সময় এলেই ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায় অনেকের। সেই সঙ্গে চুলকানি, মুখে ব্রণ, র‍্যাশ (period rash) ভরে যায়। নাকের দু’পাশে, ঠোঁটের নীচে ও ঠোঁটের চারপাশে, থুতনিতে, গলার কাছে লাল লাল ফুসকুড়ি, র‍্যাশ হয় অনেকের। পিরিয়ড শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও থাকে। কিছুতেই এইসব অবাধ্য ত্বকের সমস্যাগুলোকে বাগে আনা যায় না। তার ওপর র‍্যাশের জায়গায় চুলকালে সেখানটা পেকে গিয়ে ঘা হয়ে যায়। এই সমস্যা কীভাবে মেটাবেন সে নিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন ডার্মাটোলজিস্টরা।

Skin rashes

পিরিয়ডের সময় কেন এমন হয়?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঋতুস্রাবের আগে মেয়েদের হরমোনের সাইকেল চলে। প্রথমে ওভ্যুলিউশন, তার আগে ইস্ট্রোজেন ডমিনেটেড ফেজ (Phase) থাকে, তারপর প্রোজেস্টেরন ডমিনেটেড ফেজ থাকে। এই পুরো সার্কলটা ঠিকভাবে চললে কোনও সমস্যা হয় না। কিন্তু যদি একটি পর্যায়ে গিয়ে সমস্যা হয় বা হরমোনের ক্ষরণ কম বা বেশি হয়, তখন তার ছাপ পড়ে ত্বকে।

পিরিয়ডের ১২-১৩ দিন পরে দ্বিতীয় সার্কল শুরু হওয়ার সময় শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ে। এই সময় প্রোডেস্টেরন ডার্মাটাইটিস হতে পারে, যাতে ত্বক শুষ্ক, খসখসে আঁশের মতো হয়ে যায় (period rash)। অনেকের এই সময় একজিমাও হয়।

পিরিয়ড শুরু হলে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ হতে থাকে, এই সময় ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়। যাদের পলিসিস্টিক ওভারি বা জরায়ুতে সিস্টের সমস্যা আছে তাঁদের মুখ ভর্তি ব্রণ দেখা দেয়। অনেকের গোপনাঙ্গেও র‍্যাশ হতে পারে। ফাঙ্গাল ইনফেকশন, পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকেও ত্বকের সমস্যা হতে পারে।

মানসিক চাপ, উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি, মন ভাল রাখতে কী কী করবেন

Rashes

সমাধান কীভাবে

ওভারিতে সিস্ট থাকলে তার চিকিৎসা করাতে হবে। তার জন্য পরীক্ষা করিয়ে নিন।

ওজন বেশি থাকলেও ব্রণ, ডার্মাটাইটিসের সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।

ফ্য়াট জাতীয় খাবার মাখন, তেল, চর্বি, জাঙ্ক ফুড, প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

ঋতুকালীন দিনগুলিতে বেশি করে ফাইবার ও আয়রনযুক্ত ফল, শাকসব্জি খেতে হবে (period rash)। হাল্কা খাবার খাওয়াই ভাল।

Stress Rash

গর্ভনিরোধক ট্য়াবলেট বা পিল বেশি খেলেও সমস্যা হতে পারে। ডাক্তার দেখিয়ে যে কোনও ওষুধ খাবেন।

ব্রণ, একজিমার সমস্যা থাকলে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিয়ে অয়েল ফ্রি ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।

ময়শ্চারাইজার, তেল, সাবান যাই ব্যবহার করুন ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিয়ে করবেন, বেশি কেমিক্যাল দেওয়া প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভাল।