
বন্ধ্যত্ব সারাতে কী কী আধুনিক সার্জারি আছে?
গুড হেলথ ডেস্ক: বন্ধ্যত্ব (Infertility) এখন আর উদ্বেগের কারণ নয়। সার্জারির মাধ্যমেও সারতে পারে বন্ধ্যত্বের একাধিক সমস্যা। কী কী সার্জারি, কখন কেন কোন সার্জারি জরুরি, তা বিস্তারিত আলোচনা করলেন কলকাতার ক্রেডেল ফার্টিলিটি সেন্টারের গাইনোকোলজিস্ট ও আইভিএফ বিশেষজ্ঞ ডক্টর হানি কুরেশি।
ফার্টিলিটির চিকিৎসায় কী কী পদ্ধতি আছে: চার রকমের পদ্ধতি আছে–ওষুধ, সার্জারি, আইইউআই ও আইভিএফ (ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন)।
কী কী সার্জারি করা যায়: এই সার্জারিগুলোকে বলা হয় ফার্টিলিটি এনহ্য়ান্সিং সার্জারি (Infertility)। এর মধ্যে রয়েছে ল্যাপারোস্কোপি ও হিস্টেরোস্কোপিক সার্জারি। ক্যামেরা ঢুকিয়ে জরায়ুর অবস্থা পরীক্ষা করা হয়। ইউট্রাইন পলিপ, ইউট্রাইন সেপটা, ইউট্রাইন অ্য়াডহেশন ও টিউবাল ব্লক থাকলে হিস্টেরোস্কোপিক সার্জারি করা যেতে পারে।
কোন কোন ক্ষেত্রে ল্য়াপারোস্কোপিক সার্জারি করা হয়: ওভারিতে যদি সিস্ট থাকে (Infertility) সেক্ষেত্রে এই ধরনের অস্ত্রোপচার করা হয়। তাছাড়া চকলেট সিস্ট, এন্ডোমেট্রিওসিস, পেলভিক অ্যাডহেসিওলাইসিস, ইউট্রাইন ফাইব্রয়েড ও টিউবাল ব্লকের ক্ষেত্রে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি করা হয়ে থাকে।
আইভিএফ পদ্ধতির সাফল্যের জন্য প্রাথমিকভাবে এই সার্জারিগুলো করা হয়। যদি জরায়ুতে পলিপ থাকে তাহলে সেটা বের করে দেওয়া বা সেপটা কেটে দেওয়া ইত্যাদি। প্রাথমিকভাবে এই সার্জারিগুলো করা থাকলে পরে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তানধারণ করা সহজ হয়।
আরও পড়ুন: বন্ধ্যত্ব: মেয়েরা কিন্তু একা দায়ী নয়, পুরুষদের কী কী ফ্যাক্টর কাজ করে?