
প্রেগন্যান্সির সময় ওজন স্বাভাবিক নিয়মেই বাড়ে (Weight Loss)। সন্তান জন্মের পরে সেই বাড়তি ওজন কমানো মুশকিল হয়ে যায়। বাচ্চাকে স্তন্যপান করাতে হয়। তার ওপর সন্তানের খেয়াল রাখতে গিয়ে আর ওজন কমানো হয়ে ওঠে না। ক্লান্তিও চলে আসে। তাই এই সময়ে না খেয়ে বা কোনও ক্র্যাশ ডায়েট করে ওজন কমানোর প্রশ্নই ওঠে না। বাচ্চা যেহেতু বুকের দুধ খায় তাই মায়েরও ভরপুর পুষ্টির দরকার। খাওয়াদাওয়া ঠিক রেখেই ওজন কমাতে হবে। তার জন্য় ব্যালান্সড ডায়েটেরই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা।
কী কী নিয়ম মানলে কাজ হবে?
বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় মায়ের ওজন সবথেকে বেশি কমে। এনেকেই এই সময়তেই পুরোপুরি রোগা হয়ে যান। ঝরিয়ে ফেলেন প্রেগন্যান্সির সময়ের ওজন (Weight Loss)।
খিদে পেলে সেই অনুযায়ী খাবার খান। জাঙ্ক ফুড বা ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন খিদের মুখে। তার বদলে ফল-স্যালাড খেলেই ওজন কমতে পারে।
ভারতে মাঙ্কিপক্সের প্রজাতি আলাদা, ইউরোপ-আমেরিকার মতো ‘সুপার স্প্রেডার’ নয়: আইসিএমআর
স্তন্যপান করানোর সময়ে শরীরে সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণের প্রয়োজন পড়ে। তাই এমন খাবার বেছে নিন, যাতে কম ক্যালরি বা ফ্যাট থাকলেও জরুরি পুষ্টিগুণ রয়েছে বেশি। মাছ, চিকেন, দইয়ের মতো খাবার খান যাতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আর ফাইবার রয়েছে। এতে পেটও ভর্তি থাকবে বেশি ক্ষণ।
পর্যাপ্ত পরিমানে জল খান। দিনে ৭-৮ গ্লাস অন্তত। শুনতে অবাক লাগলেও, জল দেহ থেকে অতিরিক্ত মেদ বের করে দিতে সাহায্য করে।
মিষ্টি জাতীয় খাবার ডায়েট থেকে ছেঁটে ফেলুন। সন্তানের বয়স ৭-৮ মাস হলে তখন সলিড খাবার দিতে হবে। সেই সময় মায়েরাও কার্বোহাইড্রেটে কাটছাঁট করুন। তখন ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে ১ কাপ করে দিন। তার জায়গায় প্রোটিন জাতীয় খাবার, ফাইবার আছে এমন খাবার অর্থাৎ শাক-সবজি রাখুন ডায়েটে।
শিশুর জন্মের তিন মাস পর থেকে হালকা ব্যায়াম করতে পারেন (Weight Loss)। তবে তা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে। চিকিৎসকের কাছ থেকে আগে জেনে আসতে হবে শরীরচর্চা করার জন্য আপনার শরীর তৈরি কি না। তারপর যোগব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন, ধীরে ধীরে ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইড, ব্রিস্ক ওয়াকিং, স্কিপিং করুন।
ব্যায়াম করতে সমস্যা হলে হাঁটুন। প্রথমেই অনেক ক্ষণ হেঁটে শরীরকে ক্লান্ত করে দেবেন না। ছাদেই অল্প হাঁটাহাঁটি করতে পারেন দিনের কোনও একটি সময়ে।