বয়স ৩০ পেরনোর আগেই হার্টের সমস্যা? নিয়ম করে চেকআপ করাচ্ছেন তো

গুড হেলথ ডেস্ক

যত দিন যাচ্ছে, পাল্লা দিয়ে ততই বাড়ছে হার্টের অসুখ (Heart Disease)। কোভিডের ঠিক পরে পরেই হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর খবর মুড়ি-মুড়কির মতো শোনা গিয়েছিল। কেন হঠাৎ এত বেড়ে গেল হার্টের ব্যামো? শুধুই কি করোনা? নাকি দায়ী আরও কিছু ফ্যাক্টর?

কেন বাড়ছে হার্টের অসুখ?
হার্ট অ্যাটাক বা হার্টের অসুখ (Heart Disease) বাড়ার অনেকগুলো কারণ আছে। যার মধ্যে অন্যতম জীবনযাপনে পরিবর্তন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস না মানা, স্ট্রেস ইত্যাদি। এ ছাড়া হার্টের অসুখের জন্য কিছু জেনেটিক বা বংশগত কারণও আছে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল যদি বেশি থাকে, তাহলে হার্টের স্বাস্থ্যতেও তার প্রভাব পড়ে। মানুষ যত বেশি ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন, ততই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ছে। ফলে হার্টও দুর্বল হয়ে পড়ছে। এর মধ্যে আবার লং কোভিডও আঘাত হেনেছে হার্টের সার্বিক ভাল থাকায়, তাই হার্টের রোগ উত্তরোত্তর বাড়ছে। পাশাপাশি স্ট্রেস, মানসিক দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিসের রিস্ক ফ্যাক্টর- এসব তো রয়েছেই।

 Heart Disease

কীভাবে রোধ করা যাবে হার্টের অসুখ?
◆ বুকে ব্যথা, স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া (Heart Disease), বুক ধড়ফড় করা, প্রচণ্ড ক্লান্ত অনুভব করার মতো কোনও উপসর্গকেই অবজ্ঞা করা ঠিক নয়। কোনটা অম্বল-গ্যাসের ব্যথা আর কোনটা নয়, সে সব বোঝা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কম্ম নয়। তাই কোনওরকম সমস্যা দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যিক
◆ যে বিষয়গুলোর নিয়ন্ত্রণ আমাদের নিজের হাতে আছে, সেগুলো ঠিকমতো মেনে চলা ভীষণ জরুরি। যেমন খাদ্যাভ্যাস। ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত তেল-মশলা বা ফ্যাটজাতীয় খাবার এড়িয়ে চললেই মঙ্গল। সুষম, স্বাস্থ্যকর খাবারদাবার আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে

সারাক্ষণ মোবাইলে বুঁদ? চোখ-কানের খেয়াল আছে তো?

 heart health
◆ স্ট্রেস , দুশ্চিন্তা জীবনের অঙ্গ (Heart Disease)। তা বলে ভাল থাকার চেষ্টা একেবারে ছেড়ে দিলে চলবে না। যত দূর সম্ভব, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করে নিজেদের ভাল রাখতে হবে। আমরা চিন্তামুক্ত থাকলে হার্টও ভাল থাকবে
◆ ধূমপান, মদ্যপান এবং যে কোনও ধরনের তামাকদ্রব্য থেকে দূরে থাকা আমাদের কর্তব্য। এতে সমাজ, পরিবার, স্বাস্থ্য ও হার্ট- সবই ভাল থাকে
◆ যদি হার্টের অসুখের পারিবারিক ইতিহাস থাকে, তাহলে ৩০ পেরোলেই প্রতি বছর অন্তত একবার করে হার্টের নিয়মিত চেক আপ করাতে হবে

হার্ট ব্লকেজ (Heart Disease) ধরা পড়লে সে ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে সময় থাকতে। অনেকের ধমনীতে ব্লকেজ হয় ধীরে ধীরে। আবার কারও ক্ষেত্রে হঠাৎ ক্লট বার্স্ট করে সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়, যা প্রাণঘাতী। লাইফস্টাইলে পরিবর্তন, ওজন কমানো, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও একটা বয়সের পরে নিয়মিত মনিটরিং প্রয়োজন।