
Pollution Heart Failure: বিষবাষ্প ছাড়খাড় করে হৃদপিণ্ড, ছন্দ হারাতে পারে হার্ট
গুড হেলথ ডেস্ক
বায়ু দূষণ শুধু ফুসফুসকে ছাড়খাড় করে না, দফারফা করে দেয় হার্টেরও (Pollution Heart Failure)। বিষবাষ্পে হৃদস্পন্দরের গতিই বদলে যেতে পারে, বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি। এমনটাই বলছে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজির গবেষণা।
সর্দি-কাশি-শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে অ্যালার্জি, এমনকি হৃদরোগেরও অন্যতম কারণ দূষণ (Pollution Heart Failure)। গবেষণা বলছে, পরিবেশ দূষণ শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি পড়ে। বায়ু দূষণের মারাত্মক প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে, পাশাপাশি হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে দূষণ। বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ বাড়লে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের গতি বেড়ে যায়। রক্তবাহী ধমনীতে চর্বি জমে এই রোগ হয়। দূষণ এই রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া হৃদস্পন্দনের ছন্দ বদলে দিতে পারে দূষণ। বাতাসে ভাসমান বিষাক্ত কণা শরীরে ঢুকতে থাকলে হার্টরেট বেড়ে যেতে পারে, ছন্দ হারাতে পারে হার্ট।
গবেষণা বলছে, গাড়ি, কলকারখানার ধোঁয়া তো বটেই, রান্নার গ্যাস , উনুনের ধোঁয়াও হার্টের জন্য ক্ষতিকর। দূষিত পরিবেশে বেশিদিন থাকলে ১০০ জনের মধ্যে ৩ জনেরই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। বাতাসে ভাসমান পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম বা সূক্ষ্ম ভাসমান কণা) হার্টের মস্যার অন্যতম কারণ। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে থাকে। দূষণ বাড়লে যে শ্বাসরোগ এবং ফুসফুসের দুরারোগ্য ব্যাধি বাড়তে পারে, এ কথা বহু দিন ধরেই বলা হচ্ছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বহু গবেষণায় উঠে এসেছে, শুধু ফুসফুস বা শ্বাসনালী নয়, বায়ুদূষণ শরীরের বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উপরেই প্রভাব ফেলে। তার ফলে ক্যানসার, হৃদরোগ এমনকি অবসাদও বাড়তে পারে।গবেষণা বলছে, বায়ুদূষণের মাত্রা যদি প্রতি ঘনমিটারে ১০ মাইক্রোগ্রাম কমানো যায়, তা হলে শ্বাসরোগ, হৃদরোগের মাত্রা তিন শতাংশ কমতে পারে।
হার্টের স্বাভাবিক স্পন্দন হল মিনিটে ৬০-৮০ বার। কিন্তু যদি হঠাৎ করেই হার্টবিট প্রতি মিনিটে ৫০ বা তার নীচে নেমে যায় তাহলেই মুশকিল। হার্টবিট আচমকা কমে যাওয়া মানেই গোলমাল বেঁধেছে হার্টের নিজস্ব পেসমেকারে। হার্টের নিজের পেসমেকার তথা সাইনাস নোড সেখানে ইলেকট্রিক ইমপালস তৈরি করে (Pollution Heart Failure)। তবে শুধু সাইনাস নোডই নয়, হার্টের নানা জায়গা থেকেই ইমপালস তৈরি হতে পারে, যেমন এভি নোড ও হিস বান্ডিল। সাইনাস নোডের ঠিক নীচেই থাকে এভি নোড। যদি কোনও ভাবে সাইনাস নোডে অসুখ হয়, তখন হৃদপিণ্ডে তড়িৎ পরিবহনের কাজটা করে এভি নোড। এখন হার্টবিট প্রতি মিনিটে ৪০-৫০ হয়ে যাওয়া মানেই হল সাইনাস নোডের অসুখ করেছে। গবেষকরা বলছেন, দূষণের কারণে রক্তচাপ বাড়তে পারে, ফলে হার্টে রক্ত চলাচলে প্রভাব পড়ে। হার্টের নিজস্ব ছন্দ বিগড়ে যেতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।
পিএম ছাড়াও দূষিত বাতাসে থাকে নাইট্রোজেন, সালফার ও কার্বন মনোক্সাইড। এই রাসায়নিকগুলি মানুষের শরীরের রক্তবাহী ধমনীতে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের গতি বাড়িয়ে দেয়। ফলে হার্টের ধমনীতে প্লাক বা কোলেস্টরলের স্তর জমতে থাকে। হার্ট অ্যাটাকের এটিও বড় কারণ।