
বয়সকালে হাঁটু প্রতিস্থাপনের ঝক্কি না চাইলে হাড়ের যত্ন নিন, অস্টিওপোরোসিস দিবসে সচেতনতা বাড়ুক
গুড হেলথ ডেস্ক
ওজন বাড়া নিয়ে আমরা যতটা চিন্তিত, ততটা হাড়ের স্বাস্থ্য নিয়ে নয়। অথচ এই হাড়ই কিন্তু বয়সকালে বেশ ভোগাবে আপনাকে। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, শরীরচর্চার অভাব, অতিরিক্ত নেশার প্রবণতা ও আরও নানা কারণে অস্টিওপোরোসিসের (Osteoporosis ) মতো হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার রোগ দেখা দেয়। ওজন কমানোর ঝোঁকে অল্পবয়সীদের মধ্যে বাড়ছে অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের প্রবণতা। যার ফলে ওজন কমলেও ভেঙে যাচ্ছে শরীর। দুর্বল হচ্ছে হাড়। অথচ নিজের শরীরে দিকে সামান্য নজর দিলেই হাড়ের ক্ষয়রোগ ঠেকানো সম্ভব।
বয়সকালে হাড়ে-হাড়ে যন্ত্রণা কার না হয়! কারও বেশি, কারও কম। যাদের হাড় বেশি ভঙ্গুর তারাই বেশি ভোগে। পিঠে, হাত-পায়ে যন্ত্রণা, উঠতে-বসতে কষ্ট, সিঁড়ি ভাঙতে গেলে যেন চাবুক কষায় ব্যথা। এই সমস্যা বাড়তে বাড়তে শেষে চলাফেরার ক্ষমতাও চলে যায়। তখন হাঁটু প্রতিস্থাপনের দরকার পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটু সচেতন থেকে যদি মেনে চলা যায় সঠিক ডায়েট ও শরীরচর্চার রুটিন, তবে অস্টিওপরোসিসে(Osteoporosis ) আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমানো যেতে পারে।
এই অবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ২০ অক্টোবর বিশ্ব অস্টিওপরোসিস দিবস ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
অস্টিওপোরোসিস (Osteoporosis ) ঠেকাতে কেমন হবে ডায়েট?
বাজারচলতি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেলেই কিন্তু সমস্যার সমাধান হবে না। উল্টে বেশি সাপ্লিমেন্ট নিতে গিয়ে তার সাইড এফেক্টসও মারাত্মক হবে। ক্যালশিয়ামের ওষুধ দীর্ঘদিন খেলে কিডনিতে অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম জমে গিয়ে কিডনি স্টোনের আশঙ্কা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। তার চেয়ে নজর দিন পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়ায়।
হাড় মজবুত রাখতে ক্যালসিয়াম ও মিনারেলস সমৃদ্ধ খাবার রোজ খেতে হবে। এমন খাবার খাবেন যার মধ্যে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, বোরন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম বেশি মাত্রায় থাকে। দুধ, চিজ, ছানা, মাখন, দই রাখুন ডায়েটে। ল্যাকটোজেনে সমস্যা থাকলে সরাসরি দুধ না খেয়ে ছানা, চিজ এ সব খান।
ফল ও শাক-সব্জি, তেল-যুক্ত সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন ডি থাকে, তাই এইসব বেশি করে খান। পালং শাক, নটে শাক, বিনস, বাঁধাকপি, ব্রকোলি, কড়াইশুঁটি, মরসুমি ফল ও সবজি রাখার চেষ্টা করুন পাতে। মাছ, চিকেন, ডিমও খাওয়া দরকার।
হাড়ে-হাড়ে ব্যথা! মহিলারাই কেন বেশি ভোগেন হাড়ের ক্ষয়রোগে
শরীরচর্চা জরুরি
পেশির শক্তি বাড়ে এমন কিছু ব্যায়াম করতে হবে। হাঁটুর সমস্যা শুরু না হলে দৌড়, হাঁটাহাঁটি, স্কিপিংয়ের মতো শরীরচর্চা রোজই করতে পারেন।
সাঁতার, নাচ দুটোই ভাল ব্যায়াম। তবে হাঁটুর ব্যথা শুরু হয়ে গেলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েই ব্যায়াম করুন (Osteoporosis)।
খুব উঁচু হিল পরবেন না।
এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে না থেকে মাঝে মাঝেই উঠে হেঁটে আসা বা সহজ কিছু স্ট্রেচিং করে নেওয়া জরুরি।
হাঁটুর সমস্যা থাকলে একটানা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রান্না না করে টুলে বসে রান্না করার চেষ্টা করুন।